পটভূমি : সাঁথিয়া উপজেলা পাবনা জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা। ৩৩১.৫৬ বর্গ কি: মি: আয়তনের এ উপজেলা পাবনা শহর থেকে ৩৫ কি: মি: পূর্ব দিকে অবস্থিত। সাঁথিয়া উপজেলা উত্তরে ফরিদপুর ও শাহজাদপুর উপজেলা, পশ্চিমে আটঘরিয়া ও পাবনা সদর উপজেলা, দক্ষিণে সুজানগর উপজেলা।
অতি প্রাচীনকালে তথা বৌদ্ধযুগে সাঁথিয়া অঞ্চল পৌন্ড্রবর্ধন এর অধীনে ছিল। সে সময়ে এই অঞ্চলের অধিকাংশ অঞ্চলই ছিল জলম্ন। পরবর্তীকালে গড়ে ওঠা পুন্ডুরিয়া গ্রাম পুন্ডবর্ধণের স্মৃতি বহন করছে মর্মে ধারনা করা হয়। পাল ও সেন আমলে এই অঞ্চল বরেন্দ্র ভূমির আওতাভুক্ত ছিল। পাল শাসনামলে করমজা ও বরাট গ্রামের নাম যশঃ ও গৌরব প্রচারিত ছিল। মোঘল শাসনামলে এই অঞ্চল সুবা বাংলার সরকার, পরগণার আওতাভুক্ত হয়। মুর্শিদ কুলি খাঁ এর নবাবী আমলে ও সুজা খাঁ এর আমলে জমিদারী প্রথার প্রবর্তন হলে সাঁথিয়া রাজশাহীর জমিদারীর ভাতুরিয়া পরগণার মধ্যে স্থান পায়। ইংরেজ রাজত্বকালে এই অঞ্চল রাজশাহী বিভাগের পাবনা জেলার দুলাই থানার অধীন ছিল। ১৯২৮ সালে দুলাই থেকে সাঁথিয়ায় থানা স্থানান্তর করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সাঁথিয়া থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।
নামকরণঃ সাঁথিয়ার নামের বিষয়ে নানা জনশ্রুতি আছে। অতি প্রাচীনকালে সাঁথিয়া থানা সদর ও এর আশপাশের এলাকা জংগলে পরিপূর্ণ ছিল। হিংশ্র জন্তুর ভয়ে এখানে আসা কারও পক্ষে সম্ভব ছিলনা। কি নৌকায় চড়ে, কি গরুর গাড়িতে চড়ে - কোনভাবেই কেউ সাথী ছাড়া এ স্থান দিয়ে যেতে পারতনা। মানুষ তখন সঙ্গী বা সাথী ছাড়া চলতে পারতনা বাইরে বের হতে পারতনা। সেকালে ‘ সাথি নিয়া‘ বা ‘সাথি আয়’ বলে সঙ্গীকে নিয়ে এই স্থান দিয়ে পারাপার হতে হতো বা চলাচল করতে হতো। সাথি ছাড়া বের না হইতে পারার কারনেই এই এলাকার নাম সাঁথিয়া করা হয় মর্মে জনশ্রুতি রয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস